আর কয়েক মাসের মধ্যেই ভারতের বাজারে আসতে চলেছে টয়োটা ইনোভা ক্রিস্টা সিরিজের নতুন মডেল। গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের শুরুতেই গ্রাহকরা পেয়ে যাবেন টয়োটা ইনোভার নতুন মডেলের চাবি। ক্রিস্টার নতুন এই মডেলে কালার স্কিমের পাশাপাশি ইন্টিরিয়র ডিজাইনেও বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে এখনও এই গাড়ির দাম জানা যায়নি।
গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার একাংশের তরফে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ইন্দোনেশিয়ার বাজারে লঞ্চ করা হবে নতুন ইনোভা ক্রিস্টা। সেখানে এই গাড়ির নাম হবে কিজাং ইনোভা। তার পর অর্থাৎ আগামী বছরের শুরুর দিকে ভারতের বাজারে আসবে এই গাড়ি।
টিম বিএইচপি-র তরফে সম্প্রতি যে ছবি শেয়ার করা হয়েছে, সেই অনুযায়ী বর্তমান মডেলের মতোই দেখতে হবে টয়োটা ইনোভা ক্রিস্টা। এই গাড়ির কালার স্কিম আপনাকে আকর্ষণ করবে। বিশেষ করে নিচের দিকে কনট্রাস্টিং ব্ল্যাক শেড এই গাড়িকে এক আলাদা মাত্রা দেয়। এই সব কিছুর পাশাপাশি গাড়িতে থাকছে অ্যালয় হুইলস। অর্থাৎ তুলনামূলক হালকা ধাতুসঙ্কর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে গাড়ির চাকা। গাড়ির ডুয়াল টোন ফিনিশও আপনাকে মুগ্ধ করবে।
টয়োটার ভারতের মডেলটি প্রায় অনেকটাই ইন্দোনেশিয়ার মডেলের মতো দেখতে হবে বলে জানা গেছে। তবে ভারতীয় গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে নতুন ইনোভা ক্রিস্টার ডিজাইনে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইন্টিরিয়র ডিজাইনেও কিছু পরিবর্তন এসেছে। থাকছে টিএফটি এমআইডি ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ডিজিটাল অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোল সিস্টেম। গাড়ির নতুন ভেইকেল স্টেবিলিটি কন্ট্রোল বা ভিএসসি-ও আপনার নজর কাড়বে।
তবে নতুন মডেলের ইঞ্জিনে তেমন কোনও পরিবর্তন করতে চাইছে না টয়োটা। পুরনো মডেলের মতো এই মডেলেও দু’ধরনের ইঞ্জিন ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ২.৪ লিটার ও ২.৭ লিটার পেট্রোল ইঞ্জিন থাকছে এই গাড়িতে। এর পাশাপাশি টয়োটার এই মডেলে ম্যানুয়াল ও অটোমেটিক ট্রান্সমিশনের ব্যবস্থাও থাকছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সাল থেকেই ভারতীয় বাজারে রয়েছে ইনোভা মডেল। পরে ২০১৫ সালে উড ফিনিশড স্টিয়ারিং, এয়ারব্যাগসহ একাধিক পরিবর্তন আনা হয়েছিল গাড়ির ইন্টিরিয়রে। এর পর ২০১৬ সালে বাজারে প্রথমবার আসে ইনোভা ক্রিস্টা। তখন এই গাড়িতে ২.৮ লিটার ও ২.৪ লিটার ডিজেল ইঞ্জিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পরের দিকে অর্থাৎ সেই বছর অগস্টেই গাড়িতে ২.৭ লিটার পেট্রোল ইঞ্জিন লাগায় প্রস্তুতকারী সংস্থা।